তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়।

 

তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি অনেক ভালো আছি। তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়। কিভাবে আপনারা তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমাবেন সে বিষয় নিয়ে আজকের আমাদের এই আর্টিকেল। 

আজকের আর্টিকেলটি ডায়াবেটিস কিভাবে তাড়াতাড়ি কমানো যায় সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ডায়াবেটিস যেহেতু অনেক বড় একটি রোগ সেই ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানা ভালো। এবং ডায়াবেটিস কিভাবে কমানো যায় সেই বিষয়টিও জানা অত্যন্ত জরুরী। তাহলে চলেন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। 

ডায়াবেটিস কি।

ডায়াবেটিস এমন একটি শারীরিক অবস্থা যা সারা জীবনের জন্য বয়ে বেড়াতে হয়। এবং সারা বিশ্বে এর কারণে প্রতিবছর 10 লক্ষ এর বেশি মানুষ মারা যায়। এছাড়া যে কোনো ব্যক্তি এই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।

  • আপনার শরীর যখন রক্তের সব ধরনের গ্লুকোজ বা চিনি ভাঙতে ব্যর্থ হয়। ঠিক তখনই আপনার শরীরে ডায়াবেটিস হয়। এই জটিলতার কারণে মানুষের হার্ট অ্যাটাক বা স্টক করা সম্ভব না বেশি থাকে । এছাড়াও ডায়াবেটিসের এমন একটা জিনিস এর কারণে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। এবং সেই সাথে নষ্ট হয়ে যেতে পারে কিডনি। এবং অনেক সময় ডায়াবেটিস রোগীদের নিম্নাঙ্গে ঘা হয়। যা সহজে শুকাতে চায় না এবং পা কেটে ফেলতেও হয়।

ডায়াবেটিস কত ধরনের ?

ডায়াবেটিস বিভিন্ন ধরনের হয়। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ডায়াবেটিস গবেষণা থেকে জানা গেছে।

  • টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসে অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন উৎপাদন বন্ধ হয়। তখন রক্তের প্রবাহে গ্লুকোজ জমা হতে পারে। টাইপ টু ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত তাদের অগনাশ হয়ে যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা হরমোন কি ঠিকভাবে কাজ করে না। যারা টাইপ ওয়ান বা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের বেলায় করোনাভাইরাস এর উপসর্গ মারাত্মক রূপ নিতে পারে।

কিভাবে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস আছে নাকি। 

ডায়াবেটিসের হলেএর সাধারণ উপসর্গের এর মধ্যে রয়েছে খুব পরিমাণ এ তৃষ্ণা পাওয়া।

স্বাভাবিকের চাইতে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।

বিশেষ করে রাতের বেলায় ক্লান্ত অনুভব করা।

কোন কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া। 

প্রদাহ জনিত রোগে বারবার আক্রান্ত হওয়া। 

দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া।

শরীরের কোথাও কেটে গেলে তা শুকাতে অনেক সময় লাগা। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার সহজ উপায়। 

এই রোগে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের জন্য খুবই প্রয়োজন হচ্ছে খাবার। কি খাবেন এবং কি খাবেন না সেটি মেনে চলতে পারলে সুস্থ জীবন যাপন করা সহজ।

যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া।

শর্করা জাতীয় খাবার নিয়ন্ত্রণ করুন। 

ভাতে গ্লুকোজ বেশি থাকে তাই ভাত কম খাওয়া। 

খাদ্য তালিকায় লাল চালের ভাত এবং লাল আটার রুটি থাকলে খুবই ভালো।

ফল সবজি খেলে নানা রকমের ভিটামিন মিনারেল পাবেন। 

আমিষ উপকারী তবে অনেক বেশি নয়। 

গরুর মাংসের বদলে মাছ বেছে নিন। 

আমিশের জন্য ডিম খোলা এবং ডাল খেতে পারেন। 

দই ঘি মাখন নয়। কম ভ্যাট যুক্ত দুধ খাওয়া উচিত। 

কাঁচা লবণ বা বেশি ভাজা তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন। 

প্রধান খাবারের পরপরই ফল খাবেন না। 

শারীরিক পরিশ্রম:

  • ডায়াবেটিস হলে অবশ্যই আপনাকে কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। দিনে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট যেকোনো ধরনের কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। সেটি হতে পারে ঘরের কোন কাজ। সব থেকে ভালো হয় যদি আপনি হাঁটতে পারেন।

জীবনাচরণ :

  • সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা এবং সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া। স্বাস্থ্য ও পরিণত সময় খাওয়া। 
  •  আপনারা অল্প করে দিনে কয়েকবার খাওয়া খাবেন। 
  • শরীরের ওজন যেন বেড়ে না যায় সে দিক নজর দেওয়া। 

  • ধূমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পরিহার করা। 

ডায়াবেটিস হয়েছে এমন অনেক ব্যক্তি প্রশ্ন করেন মিষ্টি খেতে পারব তো। সাধারণ ধারণা হলো ডায়াবেটিস হলে মিষ্টি খাওয়া যাবে না। চিকিৎসকরা অবশ্যই বলছেন এই ধারণাটি ভুল। মিষ্টি আপনি খেতে পারবেন তবে এক বসাতেই এক কেজি নয়। অল্প পরিমাণে খেতে পারেন।

নিয়মিত পরীক্ষা:

  • ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত প্রতিদিন রক্তের চিনির
  •  পরিমাণ পরীক্ষা করা।
  • পায়ে কোন ধরনের ঘা হয়েছে কিনা তা দেখে নেওয়া। 
  • প্রতি সপ্তাহে একবার ওজন পরীক্ষা করুন। 
  • প্রতি মাসে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ করুন।
  • কয়েক মাস পর পর চোখ পরীক্ষা করুন। 
  • এসব পরীক্ষা যে ফল পাচ্ছেন তা একটি ডায়েরিতে লিখে রাখুন।
  • কয়েক মাস পর পর চিকিৎসকের কাছে যান। 
  • চিকিৎসকের দেওয়া ঔষধ নিয়মিত সেবন করুন।

আশা করি এই টিপস গুলো ফলো করে চললে আপনাদের ডায়াবেটিস যদিও থাকে সেটি আপনারা সব সময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। আর নিয়মিত পরীক্ষাগুলো ফলো করলে অবশ্যই আপনারা ডায়াবেটিস এর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। খাবারগুলো সঠিকভাবে খাবেন এবং জীবনে চরণে যা যা প্রয়োজন সেগুলো অবশ্যই করতে হবে। প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করবেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। 

সব সময় চেষ্টা করবেন হাটাহাটি করার সকালে উঠে হাটাহাটি করলে এটি ডায়াবেটিসের জন্য অনেক উপকারী। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে হাঁটার অভ্যাস করা। যদি হাতটা অসুবিধা হয় তাহলে আপনারা ঘরের কাজও করতে পারেন। ঘরের মধ্যে হাঁটাহাঁটি করে ঘরে কাজ করবেন তাহলে আপনাদের ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যদিও আপনারা মিষ্টি খান মনে রাখবেন বেশি খাওয়া যাবেনা দুইটা বা তিনটা খেলে সারাদিনে আর খাবেন না।

শেষ কথা 

বন্ধুগণ আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। যদি আজকে রাতে আর্টিকেল থেকে আপনার উপকৃত হয়ে থাকেন। এবং কিভাবে তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানো যায় সেটি জেনে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আজকের আর্টিকেল দিয়ে আপনারা আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। 

আশা করি শেয়ার করবেন আর আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন আপনাদের একটু উপকার করাই আমাদের কাজ। তাই অবশ্যই আপনার আমাদেরকে এই বিষয়ে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন। দেখা হবে নতুন একটা আর্টিকেল নিয়ে।

আরো পড়ুন 

Sad Pictures 2024

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url