ঘন ঘন প্রসাব হওয়ার কারন কি

 

ঘনঘন প্রসাব হওয়ার কারণ কি

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা ও সাপোর্টে আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম আমি। 

আজকে আর্টিকেলটি হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ কি। আপনারা অনেকেই আছেন যাদের ঘনঘন প্রসাব হয়ে থাকে। আপনারা অনেক চিন্তা থাকেন যে কোন কারণ থেকে এটি হচ্ছে। আজকে এই আরটিকেল থেকে আপনাদেরকে দেখানো হবে ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ কি কি। তাহলে চলেন আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। 

ঘন ঘন প্রসাব ছয়টি রোগের কারণে হতে পারে। আর কিছু এমনি কারনে হতে পারে। চলেন তাহলে ছয়টি কারণ দেখা যাক।

নাম্বার ১ হচ্ছে ডায়াবেটিস।

  • ডায়াবেটিস রোগীদের হয়তোবা ইন্সুলিয়াস কাজ করে না আর না হয়তো ইনসুলিয়াস তৈরি হয় না। ফলে আমাদের রক্তের যেগুলো গ্লুকোজ আছে সেগুলো রক্তের মধ্যে ঢুকতে পারে না। ফলে রক্ত গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়তে থাকে 
  • তখন শরীর চিন্তা করে রক্ত থেকে কিভাবে গ্লুকোজ কমানো যায় । তখন ও জোর করে প্রস্রাব করায় বা প্রস্রাবের চাপ বাড়িয়ে দেয়। এইজন্য ডায়াবেটিস রোগীদের বারবার প্রস্রাবের বেগ আসে । এবং তার সাথে সাথে বারবার পিপাসাও লাগে। 

নাম্বার ২ হচ্ছে ইউটিআই বা ইউরেনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন

  • এটার ফলে মানব দেহে যে মূত্রথলি আছে সেটি নলের মাধ্যমে প্রসাব টা শরীরের বাহিরে বের হয়। এইখানে যদি ইনফেকশন হয় তাহলে ইউরেনারি হয়। এর কারণে মানব দেহের যে তলপেট আছে সেটি অনেক ব্যথা হয়। এই ব্যথাটা প্রসাব আসলে যে ব্যথাটা হয় সেই ব্যথার সাথে অনুভব হয়ে যায়।  
  • ফলে আমরা ওই ব্যথাটাকে মনে করি আমাদের প্রস্রাব আসছে। তারপরে প্রস্রাব করতে গেলে দেখা যায় অল্প একটু প্রসাব আসছে বা তাও আসছে না। ইটোরিয় হয় অনেকটি কারণে। তারমধ্যে হচ্ছে আমাদের যে মুত্রথলি আছে তার চারপাশে অনেক ব্যাকটেরিয়া থাকার কারণে এটি হয়ে থাকে। 
  • আরেকটি কারণ হচ্ছে আমরা যদি পানি না খাই সেটি অনেক একটি রিস্ক সেক্টর । আরেকটি হচ্ছে প্রস্রাব আসার পর অনেকক্ষণ যাবৎ প্রসাব আটকে রাখা হয় বাট টয়লেটে যায় না সেই ক্ষেত্রে টিউটোরিয়া হয়ে থাকে।

নাম্বার ৩  হচ্ছে যাদের কিডনিতে সমস্যা আছে বা কিডনি ভালো মতো কাজ করে না ।

  • কিডনির কাজ হচ্ছে আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত যে রক্ত বজ্রপাত হয় সেটি অনেক কারণে হয় আমরা যে খাবার দাবার খাই সে কারণ থেকেও হয়। মাংসের মধ্যে যে প্রোটিন আছে সেই প্রোটিন থেকেও তৈরি হয়। 
  • আমাদের রক্তে এইগুলো থাকে এইগুলোকে পরিষ্কার করে হলো গিয়ে কিডনি। কিডনি যদি কোন কারনে কাজ না করে তাহলে আমাদের রক্ত পরিষ্কার হচ্ছে না। এই রক্তে প্রতিনিয়ত বজ্র পদার্থ যুক্ত হতে হতে একটা সময় বেশি হয়ে যাবে। তখন সেটি আমাদের ব্রেনে আঘাত করবে এবং কিডনিতে বলবে রক্ত পরিষ্কার করো না কেন রক্ত পরিষ্কার কর।

নাম্বার ৪ কিডনিতে যদি পাথর হয় 

  • আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে মানুষের কিডনি আর মূত্রথলে এক জিনিস না। কিডনিতে প্রসাব তৈরি হয় এবং একটি নলের মাধ্যমে সেই প্রসাব মূত্রথলিতে যায়। সেখান থেকে পরবর্তীতে প্রসাবের সাথে বের হয়ে যায় ।
  • এবং সেই ক্ষেত্রে বারবার প্রস্রাব করার অনুভূতি হবে এবং ব্যথা করতে থাকবে। 

নাম্বার ৫ প্রোস্টেট বড় হয়ে যায় 

  • প্রোস্টেট শুধু পুরুষের ক্ষেত্রেই হয়। এটি মূত্রথলে পাশে অবস্থান করে। এবং সময়ের সাথে সাথে প্রোস্টেট বড় হয়ে যায়। বিশেষ করে যাদের বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি হয়ে থাকে।
  • অনেকের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রবলেম হয়ে যায় বা অনেকের ক্ষেত্রে এটি নরমালি থাকে। প্রোস্টেট যখন বেশি বড় হয়ে যায় তখন সেটি গিয়ে মূত্রথলিতে চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপ দেওয়ার কারণে মূত্রথলির যে মূত্রগুলো থাকে সেগুলো উপরে বের হয়ে যাওয়ার মত হয়। আর তখনই অনুভব হয় প্রস্রাব চাপ দিয়েছে। ঠিক তখন যে দেখতে পারবেন প্রসাব চাপ দিয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রস্রাব করতে গেলে অল্প একটু। 

নাম্বার ৬ হাইপার ক্যালসিমিয়া 

  • হাইপার ক্যালসিয়ামিয়া যদি হয় তাহলে আপনার শরীর অনেক দুর্বল অনুভব করবে। একই সাথে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য অনুভব হবে ।

  • আর এমনি যে যে কারণে প্রস্রাবের চাপ মনে হবে সেটি হচ্ছে আপনার ডায়াবেটিস ঔষধ এর কারণে। কারণেই ওষুধগুলো আপনার আপনার প্রসাব বের করে দিতে চাইবে এবং সেই কারণে আপনার বারবার প্রসাবে অনুভব হবে বা ঘন ঘন প্রস্রাব হবে।

  • আরেকটি কারণ হচ্ছে আপনারা যারা যারা চা কফি এগুলো বেশি বেশি খান তাদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যাটা হতে পারে। এদেরকে খাওয়া বন্ধ করে দিলেই আপনাদের প্রসাবের সমস্যাটা সমাধান হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব মানে দিনে কতবার। একটি মানুষ দিনে যদি ২ লিটার পানি খায় তাহলে সেই মানুষটির ৮ বারের বেশি প্রসাব হওয়ার কথা না। যদি একবার হয় তাহলে সেটিকে আমরা ঘনঘন প্রস্রাব বলবো না। কিন্তু যদি ৮ বারের বেশি হয় তাহলে আমরা সেটিকে ঘন ঘন প্রসাব বলতে পারি। তার মানে ৮ প্রস্রাব করলে কেউ অসুস্থ নন। 

এবং তার সাথে যদি কোমরের পাশে ব্যথা করে বা তল পেট ব্যথা করে ভালো ভালো জ্বর আসে সেই ক্ষেত্রে আপনারা ডাক্তারের কাছে যেতে পারেন। এবং অবশ্যই ডাক্তারের কাছে গেলে এর সুষ্ঠ সমাধান এবং সুন্দর চিকিৎসা পেয়ে যাবেন।

শেষ কথা:

বন্ধুগণ আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা আপনাদের ঘনঘন প্রসাবের কারণ জানতে পেরেছেন। এবং সেই সাথে এটি সমাধান কি হতে পারে সেটাও জানতে পেরেছেন। যদি আপনাদের এই আর্টিকেল থেকে একটু পরিমাণ উপকার হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন। 

আর আজকের আর্টিকেল এর ঘটনা যদি আপনাদের বন্ধুদের সাথে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনারা আপনাদের বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা আপনাদেরকে আরো অনেক বিষয়ে আর্টিকেল দিতে পারি। ধন্যবাদ সবাইকে।

আরো পড়ুন 

১০০% সঠিক নিয়মে ।ফেসবুক পেজ কিভাবে খুলবো।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url