মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুগণ কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা ও সাপোর্ট আমি অনেক ভালো আছি। আপনাদের মাঝে আজকের নতুন একটা আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজকের আর্টিকেলটি হচ্ছে মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ।
আপনারা অনেকেই আছেন যাদের প্রচন্ড পরিমাণ মাথা ঘোরা বা মাথাব্যথা বা মাথা ভার হয়ে থাকার রোগ আছে। আজকে আমি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখাবো ঠিক কোন কোন কারণে মাথা ঘুরে। চলুন তাহলে মনোযোগ দিয়ে আজকের আর্টিকেলটি দেখা যাক।
মাথা ঘুরানোর অন্যতম কারণ
- মাথা ঘোরানোর সবচেয়ে কমন যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে লো ব্লাড প্রেসার। বা রক্তচাপ কমে যাওয়া। আমাদের শরীরে প্রেসার কমে যাওয়া এর অন্যতম বড় একটি কারণ ।
- আরেকটি কারণ হচ্ছে পানি শূন্যতা। আমাদের শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয়ে যাচ্ছে। আমাদের শরীরে ঘামের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায়। আমরা যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেই সেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। ঠিক এইরকম বিভিন্নভাবে আমাদের শরীর থেকে পানি বের হয়ে যায়। ফলে পানি শূন্যতা হয়ে যায়। এই পানি শূন্যতা রোধ করার জন্য আমাদেরকে প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। আমরা সঠিক নিয়মে পানি পান করি না ফলে আমাদের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়।
- পানি শুন্যতা যখন দেখা দেয় তখন আমাদের শরীরের রক্তের ভলিউম কমে যায় । আর এই রক্তের ভলিউম কমে যাওয়ার কারনে আমাদের মাথা ঘুরানো শুরু হয়ে যায়। মাথার মধ্যে ব্লাড সাপ্লাই কমে গেলে মাথা ঘোরানো ও বমি বমি ভাব অনুভব হয়। এর জন্য পানি শূন্যতা যেন না হয় সেই জন্য আমাদের প্রতিনিয়ত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।
বসে থাকার পর উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘুরানো কারণ
- অনেকেরই আছে বসা জায়গা থেকে উঠে দাঁড়ালে বা শোয়া থেকে উঠে বসলে মাথা ঘুরানো শুরু হয়ে যায়। কারণ হচ্ছে আমরা যখন উঠে দাঁড়াই তখন আমাদের গ্রাভিটির কারনে আমাদের শরীরের বেশিরভাগ রক্ত নিচের দিকে চলে যায়। ফলে আমাদের ব্রেনে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত যেতে পারে না। সেই জন্য দ্রুত পজিশন চেঞ্জ করলে মাথা ঘোরানো শুরু হয়ে যায়।
- রক্তচাপ কমে যাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে প্রেসারের ওষুধ ঠিকমত না খাওয়া। রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যারা ঔষধ খান। দেখা যায় তারা নিয়মিত ওষুধ খান না। যারা অনিয়মিতভাবে ওষুধ খান তাদের শরীরে ব্লাড প্রেসার টা ঠিকঠাক মতো না চলার কারণে তাদের মাথার ঘোরানো শুরু করে দেয়।
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে গেলে মাথা ঘুরানো শুরু করে দেয়। ডায়াবেটিস হলে শরীরে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যায়। সুগারের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া যেমন ক্ষতিকর ঠিক তেমনি সুগারের পরিমাণ কমে যাওয়ায় তার থেকে বেশি ক্ষতিকর। আমাদের যে ব্রেন আছে তার প্রধান উপাদান হচ্ছে গ্লুকোজ। আমাদের শরীরে গ্লুকোজ কমে গেলে মাথা ঘোরানো বমি বমি ভাব মাথা ভারী এগুলো শুরু হয়ে যায়। ফলে এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের নিয়মিত গ্লুকোজের অভাব পূরণ করতে হবে।
গ্লুকোজ কমে যাওয়ার কিছু কারণ
(১)গ্লুকস কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে খাবার ঠিকঠাক না খাওয়া।
সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিনিয়ত খাবার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
(২) ডায়াবেটিসের ঔষধ ঠিকমত না নেওয়া।
১.৫ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ডাক্তাররা যে মেডিসিন দিয়ে থাকেন তা আমরা সময়মতো খাই না। সেজন্য আমাদের খেয়াল রাখতে হবে ওষুধ ঠিকমতো নিতে হবে যেন আমাদের সুগার টা লো না হয়ে যায়।
মাথা ঘোরানো আর একটি কমন কারণ
- মাথা ঘোরানোর আরেকটি কমন কারণ হচ্ছে কানের রোগ। আমাদের শরীরকে ব্যালেন্স করার জন্য অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কান 👂। কানের ভেতরে অঙ্গ পতঙ্গের যন্ত্রপাতি গুলো রয়েছে সেগুলো যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেই সমস্যাটা সরাসরি আমাদের মাথায় গিয়ে আঘাত করে।
- ট্রু ভার্টিগো হলে দুনিয়া ঘুরতে থাকে অথবা মনে হয় আমি নিজেই ঘুরতেছি। কিছুক্ষণ পর পর আমরা পজিশন চেঞ্জ করার সাথে সাথে আমাদের মাথাও ঘোরানো শুরু হয়ে যায়। যেমন বিছানায় শুয়ে থাকলে এক কাধ থেকে অন্য কাধ হলে মাথা ঘোরানো শুরু হয়ে যায়।
- আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে যাদের কান পাকা রোগ থাকে তান থেকে পূজ আসে বা পূজোর সাথে রক্ত বের হয় । কান পাকা রোগ থেকে ইনফেকশন অন্তকনে চলে যেতে পারে। তখন ব্যালেন্স করার জন্য যে অঙ্গ পতঙ্গ গুলো আছে সেগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং মাথা ঘোরানো শুরু করে দেয়।
সমাধান
আপনাদের যাদের এই সমস্যাগুলো হয় তারা প্রাক্টিক্যালি যদি সমাধান করতে না পারেন। তাহলে অবশ্যই আপনাদের উচিত ভাল একজন ডক্টরের কাছে যাওয়া এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নয়। যদি এটি আপনারা সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নেন তাহলে এর থেকে আরও অনেক বড় বড় সমস্যা হতে পারে। তাই আপনাদের উচিত খুব দ্রুত ভালো একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সেই অনুযায়ী মেডিসিন খাওয়া।
নাক কান মাথা এগুলো সব একই রক সেই ক্ষেত্রে কানের কোন সমস্যা হলে তা নাকের কোন সমস্যা হলে দাঁতের কোন সমস্যা হলে সেটি সরাসরি মাথায় আঘাত করে। তাই আপনাদের উচিত সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা নেওয়া। যখনই কোন সমস্যা দেখা দিবে তখনই ডাক্তারের কাছে যাওয়া।
শেষ কথা :
বন্ধুগণ আজকের আর্টিকেল থেকে আশা করি আপনাদের মাথা ঘোরানোর যে সমস্যাটি হয় তার সমাধান পেয়ে গেছেন। মাথা ঘোরানোর কারণ কি কি সেটিও জেনে গেছে।
যদি আমাদের আর্টিকেল থেকে আপনারা মাথা ঘোরানোর বিষয়টি নিয়ে উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি আপনারা আপনাদের বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর আমাদের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ হাফেজ।
আরো পড়ুন :