কিসমিসের উপকারিতা
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই । বন্ধুরাই আজকের আর্টিকেলে আপনাদেরকে স্বাগতম । আপনারা কি খুঁজতেছেন কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য ।
আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদেরকে সুন্দর করে বোঝানো হবে কিভাবে কিসমিস খেতে হয় এবং কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা কি । আশা করি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন । চলেন তাহলে দেখা যাক ।
কিসমিস খেলে কি হয়
কিসমিস হচ্ছে একটি ড্রাই ফুডস । আমরা সবাই জানি কিসমিস হয় আঙ্গুর থেকে। যে ফুটকে ড্রাই করা হয় সেই ফুটের ক্যালরি অনেক বেড়ে যায়।
এবং সেটা থেকে মানুষ অনেক এনার্জি লাভ করে।
আঙ্গুর হচ্ছে মূলত ভিটামিন সি জাতীয় একটি ফল । কিন্তু এটি যদি আমরা কিসমিস আকারে খাই তাহলে এটি থেকে ক্যালসিয়াম বাড়ছে ক্যালোরি হচ্ছে এবং আয়রন যুক্ত হচ্ছে।
১০০ গ্রাম আঙ্গুরের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৭০ গ্রাম ক্যালোরি । এবং ১০০ গ্রাম কিসমিসের মধ্যে রয়েছে প্রায় ২৯৯ গ্রাম ক্যালোরি । এবং অন্যান্য উপাদান আঙ্গুরের থেকে অনেক বেশি রয়েছে কিসমিসে । কিসমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ। যা তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের দেহে অনেক বেশি এনার্জি দেয় । সেই জন্য শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে কিসমিস অনেক উপকৃত ।
কিসমিসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে যা আমাদের হার গঠনের সহযোগিতা করে। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে কিসমিস খেলে আয়রন পূরণ হয়।
তাই যাদের আয়রনের ঘাটতি আছে তারা কিসমিস খেতে পারেন।
কিসমিস খেলে কি কি সমস্যার সমাধান হয়
কিসমিস ফাইবারের জন্য খুব ভালো একটি ওষুধ।
তাই যাদের পায়খানা ক্লিয়ার হয় না তারা নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। যারা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন বাড়াতে চান তারা কিসমিস খেতে পারেন।
তাদের জন্য কিসমিস হতে পারে পরম বন্ধু।
এবং যারা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে চান তারা নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। কিসমিসের মধ্যে যে অ্যান্টি অক্সাইড গুলো আছে সেইগুলো আমাদের ইউম্যান সিস্টেমকে বুস্টার করতে সাহায্য করে ।
নিয়মিত কিসমিস খেলে পুরুষের যৌন শক্তি ও বৃদ্ধি পায়।। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সর্বনিম্ন আট থেকে দশটা কিসমিস আপনারা খাবার তালিকায় রাখুন।
কিসমিস শুগার সাপ্লিমেন্ট এর জন্য ও খাওয়া হয়।কিসমিস প্রতিটা মানুষ খেতে পারে। এই কিসমিস খেলে মানুষের শরীরে কোন ক্ষতি হয় না। কিসমিস মূলত একটি ভিটামিনযুক্ত ফল আঙ্গুর থেকে হয়। কিন্তু যখন এটাকে শুকানো হয় তখন হয় কিসমিস ।
কিসমিসের গুনাগুন গুলো হলো
১। কিসমিস খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে।
২। সুস্থভাবে ওজন বাড়ায়।
৩। দাঁতের যত্নের জন্য অনেক উপকারী।
৪। ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৫। চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী।
৬। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
৭। জ্বর সারাতে সাহায্য করে।
৮। কিসমিস মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।
৯। অ্যানিমিয়া রোগ প্রতিরোধ করে ।
১০। যৌন শক্তির জন্য খুবই উপকারী।
কিসমিস খেলে শরীরের কি কি উপকার হয়।
১। রক্তশূন্যতা দূর করে : রক্তশূন্যতার অন্যতম কারণ হলো শরীরে আয়রনের অভাব। কিসমিসকে আয়রন একটি উৎস হিসেবে বিবেচনা করে।
২। হার্টের জন্য উপকারী : কিসমিস খারাপ কোলেস্টেরল অর্থাৎ এলডিএল এবং ট্রাইগি সারাইড (রক্তের উপস্থিতি এক ধরনের চর্বি ) কমাতে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩। ক্যান্সার প্রতিরোধ উপকারী : কিসমিসে মিথানল নির্জায় এন্ট্রি রেডিকেল এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ উপকার আছে।
৪। মুখের ও দাঁতের যত্ন : কিসমি সে পাওয়া ফাইটো কেমিক্যাল গুলো মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া জীবাণু প্রতিরোধ করতে পারে।
৫। ওজন নিয়ন্ত্রণে কিসমিস: সীমিত পরিমানে কিসমিস খাওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে উপকারী। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন ব্যায়ামও সময় মত খাবার প্রয়োজন।
৬ উচ্চ রক্তচাপে কিসমিস: এতে উৎপাদিত খনিজ উপাদান উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া এতে উপস্থিত পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে রাখে।
৭। যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতি : কিসমিসে বোরন নামক খনিজ পাওয়া যায়। বোরন নারী ও পুরুষ উভয় এর সাথে জড়িত। এবং যৌনশক্তির হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।
কিসমিস খেলে আপনার যৌন শক্তি ভালো হয়ে যাবে বা রোগ ভালো হয়ে যাবে বিষয়টা এরকম না। কিসমিস আমরা খাব শরীর ভালো থাকার জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য।
এবং যৌন শক্তি বাড়ানোর জন্য আমরা এটা খেতে পারি ।
অনেকেই আছেন যারা সকালবেলা খালি পেটে ব্যায়াম করতে জান । এবং অনেকেই আছেন যারা রাতে খাবার খান না কিন্তু সকালবেলা অনেক ক্ষুধার্ত হয়ে যান। তারা সকালবেলা কিসমিস খাইতে পারেন। এতে শরীরের জন্য অনেক উপকৃত হবে।
সতর্কতা
বাজার থেকে কিসমিস কিনে সেইগুলো না ধুয়ে
আপনারা কখনো খাবেন না। কারণ সেখানে অনেক ধুলোবালু থাকে । তাই কিসমিস গুলোকে ভালো করে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রেখে বা এমনি চিবিয়ে খেতে পারেন ।
শেষ কথা:
বন্ধুরা আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন । কিসমিস খেলে কি কি উপকার হয় সেটা জানতে পেরেছেন এবং কিভাবে কিসমিস খেতে হয় সেটা জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটা যদি ভালো অবশ্যই আপনারা সেটা শেয়ার করবেন।
আর হ্যাঁ কিসমিস সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকলে তা অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন